অপ্রকাশিত কবিতা

80.00

Hardback
60 pages

follow Us

বিশিষ্ট হার্ট স্পেশালিস্ট ভূমেন্দ্র গুহ রায় অবসর গ্রহণের পর প্রাইভেট প্র্যাক্টিস্ ছেড়ে দিয়ে প্রায় দুই দশক ধরে প্রাণপাত পরিশ্রম করেন জীবনানন্দের পাণ্ডুলিপিগুলি উদ্ধারের জন্য। ২০০৯ সালে প্রকাশিত হয় জীবনানন্দের দিনলিপি (১৯২৫ থেকে ১৯৩০) | এই বইয়ের কবিতাগুলি খুঁজে পাওয়া যায় ২০১৫তে |

 

জীবনানন্দ দাশ [১৮৯৮-১৯৫৪]

তাঁর পিতা সত্যানন্দ শিক্ষক ছিলেন, তাঁর বিয়ে হয় কুসুমকুমারীর সঙ্গে, স্কুলের ছাত্রী থাকতেই যাঁর কবিতা প্রকাশ হতো পত্রিকায় । জীবনানন্দ কলকাতায় এম.এ. পাশ করে সিটি কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন । ছাত্রজীবনেই তাঁর কবিতা বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়, সেগুলি গ্রন্থিত হয় তাঁর প্রথম বই ‘ঝরা পালক’এ । সিটি কলেজ আর্থিক দুরাবস্থায় পড়লে জীবনানন্দ তাঁর চাকরি হারান, সেই সময়ের মানসিক নৈরাশ্যের মধ্যে এক নিজস্ব অনবদ্য স্টাইল গড়ে তুলে তিনি লেখেন ‘ধূসর পান্ডুলিপি’র কবিতাগুলি । ১৯৩০এ তাঁর বিয়ে হয় লাবণ্যর সঙ্গে । ১৯৩২এ কয়েক সপ্তাহের জন্য বরিশালে গিয়ে প্রকৃতির প্রেমে বিভোর হয়ে লিখে ফেলেন এক খাতা ভর্তি কবিতা—যা পরে গ্রন্থিত হয় ‘রূপসী বাংলা’ নামে । ১৯৩৫এ বরিশালের বি.এম. কলেজে শিক্ষকের কাজ পেয়ে তিনি বরিশালে বাস করেন ১৯৪৬ অবধি—এই সময় তিনি প্রচুর কবিতা, গল্প ও উপন্যাস লেখেন, যদিও তাঁর কোনও গদ্য লেখাই তাঁর জীবদ্দশায় প্রকাশিত হয়নি । তিনি ১৯৪৬এ চলে আসেন কলকাতায়, আবার পড়েন কর্মহীনতার সংকটে, যদিও তাঁর লেখালেখি অব্যহত থাকে। ১৯৫৩তে হাওড়া গার্লস কলেজে কাজ পাবার পর তাঁর সমস্যা কিছুটা লাঘব হয় । ১৯৫৪ সালের অক্টোবর মাসে এক ট্রাম দুর্ঘটনাতে গুরুতরভাবে আহত হয়ে ২২শে অক্টোবর তাঁর মৃত্যু হয় ।